বাংলা পঞ্জিকায় শুক্রবার হেমন্তের শেষ দিন। হেমন্তের করুণ বিদায়ের সুরে আস্তে আস্তে প্রকৃতি ঢেকে পড়ছে শীতের কুয়াশায়। ঠাণ্ডা আবহাওয়া ছড়িয়ে দিচ্ছে তীব্র শীতের অনুভূতি। দেশের উত্তরাঞ্চলের জনপদ তেঁতুলিয়াকে বলা হয় হিম কন্যা।
প্রতিবছর এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে। শীতের আগমনে হিমালয়ের হিমবায়ুর প্রভাবে এই অঞ্চলে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারদিক। আর শীতের আগমনের সাথে সাথে খেটে খাওয়া মানুষ শীতের সংকটে পড়েছে।
ঝলমলে রোদ আর মধুরতম শীত উপহার দিয়ে প্রকৃতি থেকে বিদায় নিচ্ছে হেমন্ত কাল। হেমন্তের বিদায়ের সাথে সাথেই উত্তরের জনপদ তেঁতুলিয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। পরীক্ষার টেনশান শেষ হতে না হতেই শিশু কিশোরদের মাথায় এখন শীতের চিন্তা। এই উপজেলা থেকে হিমালয়ের দূরত্ব মাত্র একশ কিলোমিটার। তাই হিমালয়ান হিম শীতলতা বাড়িয়ে দিচ্ছে ঠাণ্ডা। টিউবওয়েলের পানি বরফের মতো ঠাণ্ডা। অনেকেই এখন খরের আগুন পোহাতে শুরু করেছেন। গত কয়েক দিন থেকেই এই এলাকায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে চারদিক। তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে এই এলাকায়। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ সংকটে পড়ছে। তারা ঠিক সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না। এ কারণে আয় রোজগারও কমেছে তাদের। তারা বলছেন দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর শীতের তীব্রতা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন তারা। দাম বেড়েছে শীতের কাপড়ের।
উপজেলা প্রশাসন বলছে, ইতোমধ্যে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হাতে সরকারি সহযোগিতা হিসেবে শীতের কাপড় বিতরণ শুরু করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতের কাপড় বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। আরও চাহিদা দেয়া হয়েছে। আশাকরি কিছুদিনের মধ্যে সাধারণ মানুষের হাতে শীতের কাপড় পৌঁছে দেয়া যাবে।